সেলামীর টাকার জন্য স্ত্রীকে- বারখাইন ইউনিয়নের সৈয়দ কুচিয়া গ্রামের হাজী আব্দুর রশিদের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঈদের দ্বিতীয় দিন ১৭ জুন রবিবার রাত ৯ টার দিকে ছেলের ঈদ সেলামীর টাকা নিয়ে স্বামীকে না দেওয়ায় সাহিদা আকতার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে ঝগড়ার মুখে প্রথমে স্বামী মো. রাসেল (৩৪) বেদরক মারধর করে।
পরে মাথায় কেরাসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনার দিন প্রথমে সাহিদা আকতারকে আনোয়ারা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ঐদিনে চমেক হাসপাসাতালে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল বেডে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে আজ শনিবার বিকেলে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
অভিযুক্ত মো: রাসেল আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের সৈয়দ কুচিয়া গ্রামের হাজী আব্দুর রশিদের বাড়ীর মোঃ শরিফের ছেলে। এ ব্যাপারে আনোয়ারা থানায় মো: রাসেল এর বিরুদ্ধে ১৯ জুন নারী ও শিশু দমন আইনের ১১ (খ) ৪ (১) ৩০ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের সাহিদার মা শামসুন নাহার এ প্রসঙ্গে সিপ্লাসকে বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমার মেয়েকে বেদরক মারধর করে। এক পর্যায়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে রাসেল ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে।
ঘরের লোকজন আমার মেয়েকে বিলের পানিতে ফেলে দিয়ে আগুন নিবানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়ে।
নিহত সাহিদার ফুফু চেমন আরা বেগম সিপ্লাসকে বলেন, বাচ্চার সেলামীর টাকার জন্য সাহিদার স্বামী মো. রাসেল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় মামলা করা হয়েছে।
নিহত সাহিদার চাচা নুরুল আবছার সিপ্লাসকে বলেন, রাসেল প্রথমে সাহিদাকে মারধর করে। পরে বাড়ির কাছের দোকান থেকে সে দেড় লিটার কেরোসিন নিয়ে সাহিদার মাথার উপর ঢেলে দিয়ে চেরাগের আগুন লাগিয়ে দেয় ঘরের দরজা বন্ধ করে চলে যায়।